রেড বুল খাওয়ার উপকারিতা কি ? রেড বুলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন ? রেট বলে কি অ্যালকোহল জাতীয় পদার্থ থাকে ?

রেড বুল খাওয়ার উপকারিতা কি ? রেড বুলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন ? রেট বলে কি অ্যালকোহল জাতীয় পদার্থ থাকে ?

 

রেড বুল পানীয় তৈরীর ইতিহাস

রেড বুল এনার্জি ড্রিংকস আবিষ্কারের ইতিহাস:   আজকাল উৎসব অনুষ্ঠান হোক বা কলেজ ফানসান সবসময় আমরা ইয়ং ছেলে মেয়েদের হাতে দেখি একটি পানীয় কেন যেটাকে আমরা রেড বুল হিসাবে জানি একচুয়ালি এটা একটি এনার্জি জিনিস যার শরীরে শক্তির যোগান দেয়, বিশ্বে যত এনার্জি ড্রিংকস কোম্পানি রয়েছে তার মধ্যে মার্কেটে সবথেকে বেশি জনপ্রিয় হল এই এনার্জি ড্রিংসকে কেন একে এক কথায় বলা হয় রেড বুল (Red Bull) বিগত ১০ বছরের ইতিহাসে পর্যালোচনা করে দেখা গিয়েছে। সবথেকে বেশি বিক্রয় বিক্রয় হচ্ছে রেড বুল এনার্জি যা ইয়ং জেনারেশনের মনে এক বিরাট জায়গায় দখল করে রয়েছে। আপনারা শুনলে হয়তো চমকে যাবেন কিন্তু রেড বুল এনার্জি ড্রিংকস কোম্পানিটির মালিক দুই ফর্মুলা ১ টীম পাঁচটি প্রফেশনাল ফুটবল ক্লাব এবং একটি আইস হকি টিমের মালিক হয়েছেন বর্তমানে। রেড বুল খাওয়া কি ভালো, রেড বুল কি মানুষের শরীরে ক্ষতি করে,

রেড বুল এনার্জি ড্রিংক আবিষ্কার কখন হয়: রেডবুল এনার্জি ড্রিংকের আবিষ্কার হয় ১৯৭৬ সালে থাইল্যান্ডে, সেখানে চেলিও ইয়োবিধা (Chalio Yoovidhya) নামক একজন লোকাল বিজনেস ম্যান এই রেড বুল কোম্পানিটিকে মার্কেটে প্রচার করেন বা নিয়ে আসে সেই সময় থাইল্যান্ডে জাপানের একটি এনার্জি ড্রিঙ্কস কোম্পানি প্রচুর পরিমাণে বিক্রয় হতে থাকে যা লোকাল স্টোর গুলিতে ওষুধের শিশিতে পাওয়া যেত সেই এনার্জি ড্রিংসটির দাম প্রচুর ছিল যা সহজে ক্রয় করা যেত না শুধুমাত্র বড়লোক পরিবারের লোকেরাই এই এনার্জি ড্রিমসটি ক্রয় করতে পারত। (রেড বুল খেলে কি মোটা হওয়া যায়, রেড বুল কোম্পানির মালিক কে, কোন দেশের কোম্পানি রেড বুল) এইসব চলার কারণে চেলিয়র মনের মধ্যে প্রশ্ন জাগে যে এমন একটা এনার্জি ড্রিংক বাড়ানো যায় যার ফলে শুধু বড়লোকরা নয়, গরিব রাও সহজে বাজার থেকে কিনতে পারে। সেই সময় চেলিও থাইল্যান্ডের ভেতর একটা ফার্মাসিস্ট কোম্পানি চালাচ্ছিলেন তাই তিনি সহজেই লিপোভিডন-ডি এর ফর্মুলাতে সামান্য কিছু পরিবর্তন করে একটি নতুন এনার্জি ড্রিঙ্কস তৈরি করলেন । তখন সেই এনার্জি ড্রিঙ্ক এর নাম রাখলেন ক্রেটিংডেইন। যেখানে “ক্রেটিং কথার অর্থ হলো লাল” ও “ডেইং কথার অর্থ হল বুল” সেই সময় তার বানানো এই এনার্জি ড্রিঙ্কসটি, সাধের সাথে সাথে অনেক সস্তায় পাওয়া যেত তাই বাজারে আসার সাথে সাথে এই এনার্জি ড্রিঙ্কস টি থাইল্যান্ডের ভেতর প্রচুর পপুলারিটি অর্জন করে নেয় । এরপর চলিও এই প্রোডাক্টটির ওপর প্রচুর নজর দিতে থাকে এবং পরিশ্রম করে তিনি থাইল্যান্ডে আয়োজিত একটি ফাইটিং শো এর স্পনসার সিট দেয় এই কোম্পানিটিকে। তার এই কঠোর পরিশ্রমের ফলে কিছু বছরের মধ্যে ক্রিয়েটিং ডেইন থাইল্যান্ডের মধ্যে নাম্বার ওয়ান এনার্জি ড্রিঙ্ক হিসাবে পরিণত হলো। যেহেতু এই এনার্জি ড্রিংকটি লোকাল মার্কেটে প্রচুর পপুলার হতে থাকলো তাই ধীরে ধীরে এর ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে পাঠানোর চিন্তা রাখল যাতে দেশে এরা আর্থিক দিক থেকে আরো বেশি পরিমাণে উন্নত করে তোলা যায় ।  সেই সময় ১৯৮২ সালে বিখ্যাত অস্ট্রিয়ান বিজনেসম্যান ডিট্রিচ মাতসিকাস থাইল্যান্ডে সফরে এলেন আসার সময় তিনি প্লেনে থাকার কারণ অসুস্থ হয়ে পড়লে মাথা ভরা বমি হওয়া এই ধরনের সমস্যা জর্জরিত হয়ে গেলেন সেই সমস্যা থাইল্যান্ডে এসে তার চলতেই থাকলো সেই সময় হোটেলে থাকা এক সার্ভেন্ট তাকে পরামর্শ দিলেন যে তিনি তাদের লোকাল মার্কেটের এমন একটি এনার্জি ড্রিঙ্কস তাকে দেবে তিনি যদি সেই এনার্জি ড্রিংসটি পান করে তবে তার শরীরে এই ধরনের সমস্যা আর কখন হবেনা অর্থাৎ তিনি শান্তিতে রেস্ট নিতে পারবেন শরীরে একটু এনার্জি উপভোগ করবে একথা শুনে ডিট্রিচ তাকে বললেন আমাকে এই এনার্জি ড্রিঙ্কস টি এনে দিন আমি পান করতে চাই যদি আমার এই এনার্জি ডিংসটি পান করলে শরীর সুস্থ হয় তবে আমি অবশ্যই পান করব। (রেড বুল কি সারের বীর্য থেকে তৈরি)আশ্চর্য সম্পূর্ণভাবে সত্যিই ওই এনার্জি নিউজটি পান করার সাথে সাথে তার সমস্ত প্রবলেম দূরে চলে গেল অর্থাৎ তিনি সুস্থ হয়ে গেলেন, ডিট্রিচের এই এনার্জি ড্রিংকসটি এত ভালো লাগে যে তিনি তখনই সিদ্ধান্ত নেই অবশ্যই তিনি এই লোকাল ব্র্যান্ড টিকে তার সাথে করে অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে যাবে কিন্তু তার আর্থিক পরিস্থিতি সে সময় অনেকটাই দুর্বল ছিল তাই তিনি একা এই কাজটি করতে সক্ষম হবেনা কারণ সেই সময় ডিট্রিচ অস্ট্রিয়ার ভেতর একটা টুথপেস্ট তৈরি করা কোম্পানির মার্কেটিংয়ের কাজ করতেন এমনকি থাইল্যান্ডে সেই কোম্পানিটিরই কাজের জন্য এসেছিলেন এর জন্য তিনি ক্রিয়েটিং ডেইনের মালিকের সাথে একটা মিটিংয়ে বসলেন এবং ক্রিয়েটিং ডেইনের মালিককে তিনি বললেন আমি এই কোম্পানির দিকে অস্ট্রিয়ায় লঞ্চ করার কথা ভাবছি তখন ডিট্রিচের সেই কথা শুনে ক্রিয়েটিং ডেইনের মালিক চেলিও ইয়োবিধা তার কথা ভালো লাগলো এবং তিনি আর ডিট্রিচ দুজনে মিলিয়ে অর্ধেক মিলিয়ন অর্ধেক মিলিয়ন ডলার দিয়ে নতুন একটি কোম্পানির শুরু করলেন যার ভেতর দুজনেই ৪৯ শতাংশ ৪৯ শতাংশের মালিক হয়েছিলেন যে ২% মালিকানায় বেঁচে ছিল তা চেলিও ইয়োবিধা তার ছেলেকে দিয়েছিলেন। তাদের দুজনের সম্মতিতে এই কোম্পানিটি চালানোর ভার নিলেন ডিট্রিচ এই দিন হওয়ার পরেই ড্রিঙ্কের টেস্ট বাড়ানোর জন্য ড্রিংকের ভেতর কার্বনেট ওয়াটারকে যুক্ত করা হয় যেহেতু বাকি যে সমস্ত ফর্মুলা গুলো একই ছিল। আর এইভাবে সবকিছু ঠিকঠাক চলার পর ১৯৮৭ সালে ক্রিয়েটিং ডেইন কোম্পানিটির নাম পরিবর্তন করে রেডবুল (Red Bull)  নামকরণ করা হয় ও অস্ট্রিয়াতে লঞ্চ করাহয়। যেদিন এই কোম্পানিটি অস্ট্রিয়াতে লঞ্চ করে সেই দিন এই কোম্পানিটির একটি স্লোগান দেয়া হয়েছিল Red bull Give You Wings”  এই স্লোগানটি বর্তমানে সারা বিশ্ব বিখ্যাত । এই কোম্পানিটির নাম Red Bull দেয়া হয়েছিল কারণ যাতে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে সহজেই এই কোম্পানিটি পরিচিত লাভ করতে পারে। সেই সময় অস্ট্রিয়া মার্কেটের মধ্যে Red Bull এর কম্পিটিশন করার মত কোন এনার্জি ড্রিঙ্কস ছিলনা তাই এই ড্রিঙ্কসটি মার্কেটে আসতেই সুপারহিট হয়ে গেল এবং লঞ্চ হওয়ার সাথে সাথে প্রথম বছরে এই কোম্পানিটি অস্ট্রিয়াতে ১০ লক্ষ কেন বিক্রয় করলেন । যদিও রেডবুলের শুরুটা ফাটাফাটি হয়েছিল কিন্তু পরবর্তীকালে এই কোম্পানিটা অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল এর কারণ হলো রেড বুল যত দ্রুত মার্কেটে উন্নতি করছিল তা দেখে অন্যান্য কোম্পানিগুলি রেড বুল কোম্পানির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন এমনকি জার্মানির ভিতর এই এনার্জি ড্রিংসটিকে পুরোপুরি ব্র্যান্ড হিসেবে ঘোষিত হয়েছিল। মার্কেটে এটাও রোটে ছিল যে রেড বুল এনার্জি ডেন্সটি শরীরের পক্ষে ভীষণ ক্ষতিকার অনেকে এটাও রটিয়েছিল যে “রেড বুল ড্রিংসের ভেতর নাকি স্যারের বীর্য থাকে” আসলে এই এনার্জি ড্রিংকসের ভেতর Taurien নামক এক মিশ্রণ মেশানো হয় যা মানুষের শরীরে এক ধরনের এনার্জি রূপে কাজ করে। আর অনেকে বলতে থাকে এই Tourin নাকি স্যারের বীর্য থেকে উৎপন্ন করে, আসল সত্যটা হলো এটাই যে এটা কোন প্রাণী শরীর থেকে নয় এটা ল্যাবের ভেতর সিম্ফেতিক টেকনিকে উৎপন্ন করা হয় এইসব বিপত্তি আসলেও রেড বুল কিন্তু সময়ের সাথে মানুষের মনে এক বিরাট জায়গা দখল করে রেখেছে। যেহেতু কোম্পানির মালিক ডিট্রিচ আগের থেকেই মার্কেটিংয়ে এক্সপার্ট ছিলেন তিনি জানতেন বিবাদ বা মিথ্যা অপবাদ দেওয়া সেটাকে কিভাবে নিজের উপকারিতার জোরে ব্যবহার করা যেতে পারে ।  যদি সব দিক থেকে দেখা যায় এই রেড বুল এনার্জি ড্রিঙ্কসটি বাজারে এত সফল হওয়ার জন্য এর মার্কেটিং এডভার্টাইজমেন্ট সম্পূর্ণ আলাদা প্রথম থেকেই তা দেখলেই বোঝা যায়। এই কোম্পানিতে উৎপন্ন হওয়া সবথেকে বেশি টাকা পয়সা শুধুমাত্র মার্কেটিং এর ওপরই খরচ করে । কোম্পানিটির মালিক রেড বুল কোম্পানিটি শুরু হওয়ার সাথে সাথে তিনি ইয়াং জেনারেশনদের উপর টার্গেট করেন যারা অ্যাডভেঞ্চারও ফানসান নাচ গান পছন্দ করেন । এই সমস্ত অডিয়েন্সদের টার্গেট করার জন্য রেডবুল কোম্পানিটি আলাদা আলাদা টেকনিক ব্যবহার করেছিলেন। যেমন স্কুল কলেজ বীচ ও জিম এর প্রচুর পরিমাণে এডভারটাইজমেন্ট করা হয় যার ফলে আজ কোম্পানিটি সমস্ত এনার্জি কোম্পানিকে হার মানিয়ে বিশ্বের নাম্বার ওয়ান এনার্জি ড্রিংক কোম্পানি হয়ে বিরাজ করছেন । শুরুতে এই কোম্পানিটি স্কুল কলেজ বা জিমের সামনে ফ্রিতে রেড বুল এন্ডিং টেস্ট এবং বিভিন্ন পার্টি ও ফাংশন অনুষ্ঠানে বিনামূল্যে Can বিতরণ করত শুধুমাত্র তার প্রচারের জন্য । কোম্পানিটির শুরুতে অনেক মুশকিলে শুধুমাত্র এক মিলিয়ন কেন বিক্রয় করতো যা পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে প্রতিদিন এক মিলিয়ন ক্যান বিক্রয় হতে থাকে । যেহেতু বড় বড় কোম্পানি করি শুধুমাত্র একজন বড় খেলোয়াড়কে দিয়ে তার ব্যান্ডকে প্রমোট করত আর এই রেড বুল কিন্তু সমস্ত টিমের খেলোয়াড়দের বিয়ে কোম্পানিটির প্রমোট করতে থাকে যার জন্য ইয়াং জেনারেশন থেকে শুরু করে সকলেই রেড বুলের প্রতি আকর্ষিত হতে থাকে এই সমস্ত চিন্তা ভাবনার জন্য এই কোম্পানিটি বড় বড় খেলোয়াড় টিম দের কিনতে থাকে এবং তার বিজনেসের প্রচার করতে থাকে সেই সমস্ত খেলোয়াড়দের দিয়ে ।  যার জন্য আজ রেড বুল ফুটবল, ফর্মুলা ওয়ান, আইস হকি টিমগুলিকে ক্রয় করেছে এবং সেই টিম গুলির দ্বারা নিজের কোম্পানির প্রমোট করতে থাকছে। বর্তমানে রেড বুল কোম্পানির সি ই ও কে, রেড বুল কোম্পানিটি কত কোটি টাকা উপার্জন করে, রেডবুল এর হেড অফিস কোথায় অবস্থিত, রেডবুলের একটি ক্যানের দাম কত, কিভাবে আপনারা রেড বুল খাবেন।

কিসের থেকে রেড বুল তৈরি করা হয় ?

রেড বুলের প্রতিদ্বন্দ্বী করা কোম্পানিগুলি রেড বুলের সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন রেড বুল নাকি সারের বীর্য থেকে তৈরি হয়, রেডগুলার মধ্যে টিউরিন থাকে বলে এই টরিন স্যারের বীর্য থেকে তার উৎপন্ন করে, বাস্তবে এই কথাটি সাথে কোন মিল নেই কারণ মাছ সহ মানুষের অন্ত্র, বুকের দুধ মাংস ও অন্যান্য টিস্যুতে টরিনের উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। রাসায়নিকভাবে অন্যান্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টিউরিন তৈরি করা যেতে পারে যেমন মানুষের শরীর তৈরি করে থাকে। রেডবুল কোম্পানি তার নিজস্ব ল্যাবের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের মিশ্রনের সাহায্যে এই টিউরিন উৎপন্ন করে । এটি সম্পন্ন করে সালফার অ্যাসিডের সাথে আজিরিডিন প্রক্রিয়া করে এই টরিন উৎপন্ন করে এই টিউরিন নামক নামক উপাদান মানুষের পেশির ফাংশানে সহায়তা করে যার জন্য অ্যাথলেটিক্স ও ক্রিয়া প্রেমিকদের একমাত্র পছন্দ এই রেড বুল এনার্জি ড্রিঙ্কস। 

 

রেডবুলের ভেতর কি কি উপাদান থাকে ?

কার্বনেটের জল, কফিতে থাকা কেফিন, ভিটামিন বি-6, ভিটামিন বি-12 গ্লুকোজ ও এসিডিটি ম্যাগনেসিয়াম কার্বনেট এই সমস্ত উপাদানগুলির সংমিশ্রনে রেড বুল এনার্জি ড্রিঙ্কসটিকে তৈরি করা হয়। রেড বুল এর মধ্যে সবথেকে বড় উপাদান হলো টিউরিন। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরে ৭০ গ্রাম বিতরণ করা হয়, অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরে যে পরিমাণ টিউরিন থাকে যা রেডবুলের একটি কেন এর প্রায় ৭০ গুন বেশি। তাই এই রেড বুল এনার্জি ড্রিঙ্কসটি কোন প্রকার ড্রপিং পদার্থ নয় পেশাদার ক্রিয়াবিদরা এটা সহজেই ব্যবহার করতে পারে । ২০০৪ সালে আয়োজিত অলিম্পিকে অনুষ্ঠানের সময় এন্ট্রি ড্রপিং এজেন্সি কমিটি পরিষ্কারভাবে ঘোষিত করে রেড বুল কোন ড্রপিং লিকুইড নয় এটি শুধুমাত্র একটি এনার্জি ড্রিংকস এবং এটি ব্যবহারে কোন প্রকার বিধানেই। রেডবুল এর ২৫০ গ্রাম একটি ক্যানে ৪০ মিলিগ্রাম ক্যাফেন থাকে যা আপনারা এক কাপ কফি পান করে পেয়ে থাকেন। কি দিয়ে রেড বুল তৈরি হয়, রেড বুল এনার্জি ড্রিঙ্কস টি সবথেকে ভালো কেন, কতটুক পরিমানে ক্যাফিন থাকে রেট বলে, কফি ও রেড বুলের মধ্যে পার্থক্য কি, কখন আপনার রেড বুল পান করতে পারবেন, বাসি পেটে, রেড বুল খাওয়া কি উচিত, রেড বুল এর মধ্যে কি ফ্যাট থাকে, রেড বুল কোম্পানিটি এখন ভারতবর্ষে কোথায় রয়েছে। কলকাতা রেডবুল কোম্পানির শোরুম কোথায়, মুম্বাইতে রেড বুল কোম্পানির শোরুম কোথায়, রেড বুল কোম্পানিটির বর্তমান কি নাম রয়েছে, রেডবুল নাম হওয়ার কারণ কি, রেড বুলে কি সারের বীর্য থাকে। 


রেড বুল এনার্জি ড্রিঙ্কস পানের উপকারিতা কি ?

আমরা সকলে এনার্জি ড্রিংক পান করি নিজের ক্লান্তি হতাশা দূর করে শরীরটিকে স্বাভাবিক করতে এই সমস্ত প্রক্রিয়াটি আমাদেরকে একবার সম্পন্ন করতে রেড বুল সহায়তা করে। ১৮ থেকে ২৫ বছরে বয়সের মধ্যে সমস্ত টিনেজাররা এটি ব্যবহার করে, আপনারা যদি কোন ক্রিয়ার সাথে যুক্ত থাকেন কিংবা স্পোর্টসের সাথে যুক্ত থাকেন ডিফেন্স চাকরির জন্য আবেদন করছেন তবে আপনারা এই রেড বুল এনার্জি ড্রিংস সম্পর্কে ধারণা পাবেন আমরা অনেকেই সরকারি চাকরির র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করলে দীর্ঘ সময় ধরে সেখানে অপেক্ষা করার জন্য নিজের শরীরকে ধরে রাখার জন্য রেডবুল এনার্জি ড্রিংকসটির সহায়তা নিই। এছাড়াও যারা রাত জেগে নাইট ডিউটি করে তারা রেড বুল এনার্জি নিয়ে শয়তানে তাদের কাজে মনোযোগ বাড়ানোর জন্য।


রেড বুল এনার্জি ড্রিংকসটির ক্ষতিকারক প্রভাব ?

রেড বুল এনার্জি ড্রিঙ্কসটি অতিরিক্ত পরিমাণে পান করলে আপনার শরীরের কি ক্ষতি হতে পারে, আপনি যদি রীতিমতো প্রতিদিন রেড বুল এনার্জি ড্রিংকসটিকে শ্রবণ করেন তাহলে এতে থাকা ক্যাফিন আপনার শরীরকে শুষ্ক করা করে দিতে পারে এতে আপনার শরীরে পেটে ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা, নিন্দাঅল্পতা ঘুম কমে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। ( রেড বুল কি ক্ষতিকারক,রেড বুল খেলে কি ঘুম আসে, গর্ভবতী অবস্থায় কি রেড বুল খাওয়া যায়, হার্টের প্রেসিডেন্টরা কি রেডবুল খেতে পারে, রেড বুল খেলে কি কিডনি নষ্ট হয়, রেড বুল খেলে মাথা ঘোরে কেন, দৌড়ানোর জন্য কি রেড বুল যথেষ্ট, স্পোর্সের সময় রেড বুল খেলে কোন অসুবিধা হয়,) হার্টের সমস্যা থেকে সুগার, ও ডিহাইড্রেশনের মত সমস্যার সম্মুখীন হবে আপনার শরীর। তবে আপনি যদি এর অতিরিক্ত পরিমাণে শ্রবণ করেন তবে, আপনি যদি প্রতিদিন এক থেকে দুটো কেন ইউস করেন তবে আপনার শরীরে এমন কিছু সমস্যা হবেনা।


রেড বুল ও স্টিং এনার্জি ড্রিংসের মধ্যে কোনটি মানুষ বেশি পছন্দ করে ?

রেড বুল একটি সবথেকে এনার্জি ড্রিংকস কোম্পানির মধ্যে পুরাতন কোম্পানি সারা বিশ্বের সবথেকে বেশি পরিমাণে লোকজন রেড বুল এনার্জি ড্রিংকটিকে পছন্দ করে। এটির মার্কেটিং স্ট্যাটাজি বিশ্বসেরা আমরা অনেকবার দেখেছি। এই রেড বুলকে তার প্রমোশনের জন্য বেশ কিছু দুঃসাহসিক মূলক কাজগুলো আমাদের সামনে তুলে ধরা যেমন 2012 সালে আমাদের দেখিয়েছিল মহাকাশ থেকে এক ব্যক্তি পৃথিবীতে লাভ দিচ্ছিল এবং সেইটা ছিল রেডবুল এর প্রমোজনের জন্য যদিও এটা রিসার্চ করেছিল নাসা। অনেক দুঃসাহসিক মূলক এডভারটাইজমেন্ট দেখানো হয়েছিল রেড বুল এনার্জি ড্রিংস টিকে পান করার পর যেমন আগ্নেয়গিরির সামনে স্কেটিং করা, ১০ তলা বিল্ডিং এর উপর দিয়ে বাইক চালানো স্কাই ড্রাইভিং থেকে শুরু করে আইএসকি অনেক দুর্দান্ত প্রতিযোগিতামূলক খেলাতেও এই রেড বুল কোম্পানি তার এডভার্টাইজমেন্ট চালিয়ে গিয়েছে।

 

তাহলে বুঝতেই পারছেন রেড বুল যে পরিমাণে নিজের মার্কেটিং স্ট্যাটাস এর উপর খরচ করে, যা অন্য সাধারণ এনার্জি ড্রিঙ্কস কোম্পানিগুলি উপার্জন করতে পারে না প্রতি বছর এর জন্যই মানুষ বেশি পছন্দ করে রেড বুল এনার্জি ড্রিঙ্ক। 

 রেড বুল

 একটি এনার্জি ড্রিংক

 স্ট্রিং কোম্পানির ম্যানুফ্যাকচারার হলো

 পেপসি

 রেড বুল কোম্পানির ম্যানুফ্যাকচারার হলো

 Ronge

 রেডবুল কোম্পানির ব্র্যান্ড এম্বাসেডর

 K.L Rahul

 স্ট্রিং কোম্পানিটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলো

 Akshay Kumar

 রেড বুল এনার্জি ড্রিংসটির উৎস

 Caffeine

 স্টিং এনার্জি ড্রিংসটির উৎস

 30% Sugar & Minarales

 রেড বুলে ২০২৩ সাল পর্যন্ত কতগুলি ক্যান বিক্রয় হয়েছে

 100Billion + 

ভালো লাগলে কমেন্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন